সেলুনে কিংবা ঘরে কৃত্রিম কালার ব্যবহার করে সহজেই চুল কালার করা যায়। তবে কৃত্রিম কালারে অ্যামোনিয়া বা প্যারাবেনের মতো বিষাক্ত এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকতে পারে। এই রাসায়নিকগুলো এড়িয়ে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করেই চুলে চমৎকার রঙ আনা যায়। জেনে নিন কোন কোন উপাদানের সাহায্যে প্রাকৃতিক রঙ আনতে পারবেন চুলে।
# গাজরের রস: চুলে লাল-কমলা রঙের ঝলক আনতে চাইলে গাজরের রস ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে চুলে লাগান। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ১ ঘণ্টা। আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুলে এই রঙ গাড় না হলে পরের দিন আবার ব্যবহার করুন।
# বিটের রস: চুলে গাড় লাল রঙের ঝলক আনতে চাইলে গাজরের রসের পরিবর্তে ব্যবহার করুন বিটের রস। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে বিটের রস মিশিয়ে চুলে লাগান। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন।
# মেহেদি: কৃত্রিম কালারের সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো মেহেদি। এটি চুলে সুন্দর লাল আভা এনে দেবে, যা চার থেকে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। মেহেদি বেটে চুলে ২ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন। তবে মেহেদি লাগানোর আগে চুলের লাইন বরাবর নারকেল তেল লাগিয়ে নিন, এতে ত্বকে মেহেদির দাগ বসবে না।
# কফি: চুলে গাঢ় বাদামি রঙ আনতে কফি ব্যবহার করতে পারেন। কড়া ব্ল্যাক কফি লিকার নিয়ে নিন একটি স্প্রে বোতলে। লিভ-ইন হেয়ার কন্ডিশনার মেশান খানিকটা। মিশ্রণটি চুলে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
# চা: চায়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড চুল কালো করে। ৫ টেবিল চামচ চা পাতা ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন। লিকার ঠাণ্ডা হলে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।